ঠকছো হে মানব, ঠকছো হে জাতি, ঠকছে এ ভব, ঠকছে এ জগৎ, ফাঁদ পাতা ওতপ্রোত এক পা এগোইতো, দু’পা পিছিয়ে আসি, অবিরাম আতঙ্কিত প্রাণ, কোন বিপদে ফাঁসি, বিপদ ঝেপে পড়ে, দেয় ক্ষণেকের হাতছানি । বিপদ অঙ্কিত উর্দ্ধে গগণ, পদতলে মাতৃগর্ভ জমিন, মলিনো মর্ম বদন, অশ্রু রোদনে কাতর, ভব ছেড়ে যায় দুর বিদুর, বোঝা বইতে ভাঙে কটি, গলায় ধরে আঁশবটি। কেউ হয় নন্দিত, কেউ হয় নিন্দিত, কেউ বা প্রধান , কেউ করে প্রদান, যেমনি আছে দৃপ্ত প্রাণ, তেমনি দীপ্ততা বিধান । যে শয়িত সেই সয়িত, রতিকে করি রহিত, এবেলা সখাহীন বিজন, বিজন অঙ্গনে রিক্ত হাতে রয়েছে বীজন, বায়ুপ্রবাহে ঘুরছে শা-শা, এই জগৎ মোরে দেখে হাসছে হা-হা। এ বিশাল জগতে নাইকো কিছু, স্বার্থবীনা নই মোরা কিছু, মায়ের মত নাইকো কোথাও মেধ, নাইকো কভু বিস্তার বেধ, বিপদ হয়না রধ, করতে আসে মোরে বধ, কপালের লিখন না যায় খন্ডন, ¯্রষ্টা মোদেরে করেছেন অর্পণ। বিশ্বকে জয় করতে, প্রতিকূলতাকে জানায় আহূতি, মোকাবেলায় কাপে না পাণি, স্বর্ণাক্ষরে অক্ষরে মানি, রুজনের আদেশ শিরোধার্য বাণী, জগতের কল্যাণে মোরো অবধান, সান্ত সলাযুক্ত বিশ্ববাসীর অবদান।
7,372,336 total views, 2,204 views today